- Fit Fridays
- Posts
- Fit Fridays
Fit Fridays
Volume I Issue VII
আপনার সু-স্বাস্থ্যে, ফিট ফ্রাইডেজ আপনার পাশে! 🌟
ফিট ফ্রাইডেজের পঞ্চম ইস্যুতে আমরা দু ধরনের খাদ্যাভ্যাসের (ফ্যাট অ্যাডাপটেশন, ফুল/ড্রাই ফাস্টিং) সম্পর্কে জেনেছি। আজ বাকি খাদ্যাভ্যাসগুলো অর্থাৎ ওয়াটার ফাস্টিং, ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং, ওয়ান মিল এ ডে নিয়ে জানবো।
ওয়াটার ফাস্টিং:-

ওয়াটার ফাস্টিং- একটি গুরুত্বপূর্ণ খাদ্যাভ্যাস
সারা দিনে শুধুমাত্র এক বেলা খেয়ে, পরবর্তী ২৩ ঘণ্টা শুধুমাত্র জল, ভিনেগারের জল বা সামান্য পিংক সল্ট দেওয়া জল, অথবা শুধুমাত্র গ্রিন টি পান করে পরের দিন খাবার খাওয়াই হলো ওয়াটার ফাস্টিং। অর্থাৎ ২৪ ঘন্টার মধ্যে এক ঘন্টা খাবার খাওয়া আর বাকি ২৩ ঘণ্টা খাদ্য উপাদান নেই এমন পানীয় পান করা। ওয়াটার ফাস্টিং এর মাধ্যমেও আমরা অটোফেজির সুবিধা ভোগ করতে পারি।
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং:-
পুরো দিনে ৪-৬ ঘন্টা খাবারের জন্য বরাদ্দ করে বাকি সময় ওয়াটার ফাস্টিং এর মত করে শুধুমাত্র জল, ভিনেগারের জল বা পিঙ্ক সল্ট দেওয়া জল অথবা গ্রিন টি পান করার অভ্যেসকে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং বলে। এক্ষেত্রে তুলনামূলক কম সময় অটোফেজি হয়। যারা মাঝেমাঝে বেশি পরিশ্রমের ফলে দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকতে কষ্ট অনুভব করেন তারা সেই দিনগুলোতে এই অভ্যাসটি অনুসরণ করতে পারেন।
তবে এগুলো সবই একটা নির্দিষ্ট খাদ্যাভ্যাস তৈরির পদ্ধতি মাত্র। সাম্প্রতিক কিছু রিসার্চ অনুযায়ী, প্রয়োজনের অধিক ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং হৃদরোগের কারণ হতে পারে।
ওয়ান মিল এ ডে:-
সারাদিনে একবেলা ভর পেট খাওয়ার অভ্যাসই ওয়ান মিল এ ডে। এক্ষেত্রে ফুল ফাস্টিং করে এক বেলা খাবার খেলে বেশি ভালোভাবে আপনার শরীরে অটোফেজি হবে। যা আমরা এই রমজান মাসেই করে থাকি।

ফাস্টিং-এর মাধ্যমে অটোফেজি:-
খাবারের বিষয়টির পরেই গুরুত্ব দিতে হবে না খেয়ে থাকার বিষয়টিতে অর্থাৎ উপবাস বা অটোফেজি প্রক্রিয়া। অটোফেজি একটি গ্রীক শব্দ যার বাংলা অর্থ আত্মভক্ষন। অর্থাৎ শরীরের আভ্যন্তরীণ অঙ্গসমূহকে পরিষ্কার করার একটি প্রক্রিয়া। যা সম্পন্ন হয় কোষীয় পর্যায়ে। এই আত্মভক্ষণ ঘোষকে সজীব রাখতে সাহায্য করে। যদি আত্মভক্ষণ প্রক্রিয়াতে কোন সমস্যা হয় তবে শরীরে নানা রোগের উৎপত্তি হতে পারে।
অটোফেজি যেভাবে করতে হয়:- আমাদের শরীরের বিভিন্ন কাজ করার জন্য প্রতিনিয়ত প্রোটিন তৈরি সংশ্লেষ হয় এবং তৈরি হওয়া প্রোটিনের কাজটি সঠিকভাবে সম্পন্ন করার জন্য তার গঠন অ্যামিনো এসিড দ্বারা ত্রিমাত্রিক হতে হয়। যদি ত্রিমাত্রিক গঠন না হয় তবে প্রোটিনটি শরীরের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে এবং তার ফলে নানা রোগের সৃষ্টি করতে পারে। অটোফেজি প্রক্রিয়াটি এই ক্ষতিকারক প্রোটিন কে ধ্বংস করে বা কাজে লাগায়। উপবাসে থাকা বা রোজা রাখা, পরিমাণে কম কিংবা কম ক্যালরির খাদ্য খাওয়া, শারীরিক পরিশ্রম করা ও নিয়মিত সঠিক সময় পর্যাপ্ত ঘুমানোর মাধ্যমে অটোফেজি প্রক্রিয়া চালু হয়। এক্ষেত্রে একটা উদাহরণ এরকম হতে পারে- আমাদের কাছে প্রয়োজনীয় জিনিস থাকা সত্ত্বেও যদি নতুন জিনিস নিয়ে আসা হয় তাহলে পুরনো কে ভুলে গিয়ে সেই নতুন জিনিসটিই আমরা ব্যবহার করি। কিন্তু যদি নতুন কোন জিনিস আর না না হয় তাহলে পুরোনোটা দিয়েই আমাদের চাহিদা মেটাই। ঠিক একই রকম ভাবে, যখন আমরা রোজা রাখি অর্থাৎ শরীরে খাদ্য সংকট ঘটাই, তখন শরীরের জমে থাকা অপ্রয়োজনীয় ও অপরিপক্ক কোষগুলোকে শরীর খিদে মেটাতে কাজে লাগায়। এভাবেই আত্মভক্ষণ অর্থাৎ অটোফেজির মাধ্যমে আমরা নিজেদের শরীরকে পরিষ্কার করতে পারি ও নতুন সুস্থ কোষ তৈরি সুযোগ করে দিই।
আগে আমরা শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় খাবার সম্পর্কে জেনেছি। আজ কিছু স্বাস্থ্যকর পানীয়ের কথা আলোচনা করব।

সাধারণ বিশুদ্ধ জল
ভিনেগার মিশ্রিত জল
পিংক সল্ট দেওয়া জল
হলুদের চা/হলদি চা
ডাবের জল
চীয়া সিডের জল
অর্গানিক ব্ল্যাক কফি
তথ্যসূত্র: JK lifestyle
Reply